প্রাক ভাবনা; শ্লোক- ১১০

পঁচা পুকুরে ডুব দিলে
বেংচি ওঠে গায়, গা চুলকায়।
ভেবে কাজ করতে হয়,
অন্যথা জীবন ভুলে ভরে যায়।

পাদটীকা: কোন কিছু করার পূর্বে ঠান্ডা মাথায় ভেবে করতে হয়, নয়তো ভুলের মাশুল গুনতে হয়।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


মিনি কাব্য - ১০৮

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
কালকে যে বন্ধু ছিল
আজকে সে তা নয়।
সময় ভেদে নদীর স্রোত
উল্টো দিকে বয়।

মিনি কাব্য - ১০৭

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
কিছু ফুল ফোটার আগেই ঝরে যায়,
গল্প তাঁহার অসমাপ্তই রয়ে যায়।
নানান পথের বিড়ম্বনায়, মরীচিকায়
বিপথে পথিক পথ হারায়।

মিনি কাব্য - ১০২

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
জন্ম যাহার আছে
মৃত্যু তাহার হবে।
জীবদ্দশার পদচিহ্ন
স্মৃতি হয়ে রবে।

মিনি কাব্য - ১০১

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
উত্তরাধিকার সূত্রে আমি
পাইনি ধণ, পাইনি পণ।
কথা ও কাজে স্বকীয়তা,
থাকবো আমি যতক্ষণ।

মিনি কাব্য - ১০০

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
মূর্তি গড়ার সময়
যত্নে গড়তে হয়।
পুঁড়িয়ে শক্ত হলে,
বাঁকানো সম্ভব নয়।

মিনি কাব্য - ৯৯

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
মাঝপথে দাড়িয়ে আমি
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলাই।
কিছু হারিয়ে কিছু পেয়েছি
আজো একলা দাড়িয়ে জীবন খেয়ায়।

মিনি কাব্য - ৯৭

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
অলস্যে সফলতা নয়
ব্যার্থতার পাহাড় গড়া হয়।
পরিশ্রমী-কর্মঠ হও,
সময় করো না অপচয়।

মিনি কাব্য - ৯৬

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
কাছের পাহাড় বিশাল বড়
দূর থেকে তা নয়।
এখন কষ্ট আকাশ সম,
অতপরঃ সব ক্ষুদ্র মনে হয়।

অবিকারী; শ্লোক - ৭৯

নিজেকে আম দাবী করলেই
তেতুঁল হবে না আম।
যতই গাঢ় নীল রঙে ডুবাও
কাঁঠাল হবে না জাম।

পাদটীকা: লবণের গায়ে চিনি লিখে রাখলেই তা চিনিতে পরিনত হয় না, যদিও তা বাহ্যিক সাদৃশ্যে প্রায় একই রকম। প্রতিটি বস্তুর পরিচয় তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ নির্ধারণ করে।

অবিকারী; শ্লোক - ৭৯ চিনি লবণ


প্রাক্তন; শ্লোক - ৭১

ফেলে যাওয়া প্রাক্তন 
বারবার ফিরে আসে। 
ইশারায় কাছে ডাকে, 
জানালায় এসে হাসে। 

পাদটীকা: অতীতের সাথে বর্তমান অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে যুক্ত, আর এই সম্পর্কের কারণে বারবার ফিড়ে আসে। গন্তব্য ভিন্ন হলেও কোথাও কোথাও আমরা একই পথ যাত্রী তাই আমরা বার বার প্রাক্তনের মুখোমুখি হই।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

প্রাক্তন; শ্লোক - ৭১


ধর্ম কর্ম; শ্লোক - ৬৩

বিজ্ঞ সৃজন কর্ম করে,
সাজায় ধরা, সুজীবন যাপনের তরে।
ধার্মিক গণে কর্ম করে
মৃত্যুর পরে কল্প জীবনে বাঁচার তরে।

পাদটীকা: প্রতিটি মানুষ ধর্ম বা কর্ম করে একটি বিশেষ কারণে বা উদ্দেশ্যে। কারো কারো উদ্দেশ্য পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে সুখকর এবং নিরাপদ জীবন যাপন করা। আর কারো কারো উদ্দেশ্য মৃত্যুর পরে সুন্দর জীবন যাপন করা।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ধর্ম কর্ম; শ্লোক - ৬৩

দক্ষতা; শ্লোক - ৬২

মৎস না জানে বৃক্ষারোহণ; 
সে সাঁতার কাঁটিতে দক্ষ। 
বাদর বৃক্ষারোহণে সুচারু; 
জলে ডুবে যায় আবক্ষ। 

পাদটীকা: কোন ব্যক্তি সাঁতারে বেশ দক্ষ কিন্তু, সে গাছে উঠতে জানে না। আবার, অপর ব্যক্তি গাছে উঠতে বেশ দক্ষ, কিন্তু সে সাঁতার জানে না। মোট কথা, বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি বা সীমাবদ্ধতার কারণে সকলেই সর্ব বিষয়ে দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ হতে পারে না।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

দক্ষতা; শ্লোক - ৬২


ভেজাল; শ্লোক - ৬১

দুধের সাথে পানি মিশালে 
তাহা না রহে খাঁটি। 
সত্য মিথ্যার মিশ্রণে বাস্তব 
নাটকীয় পরিপাটী। 

পাদটীকা: খাদ্যে ভেজাল মেশালে তা বিশুদ্ধতা হারায়, মূল্য এবং গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। অনুরূপ, সত্যের সাথে মিথ্যা মেশালে তা আর শতভাগ সত্য থাকে না, সত্য অংশের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ভেজাল; শ্লোক - ৬১


আশা; শ্লোক - ৫৮

কোকিল আছে
নাইতো বাসা;
আলোক নাই
আছে আশা।

পাদটীকা: কোন কিছুর অভাব মানুষকে তার লক্ষ্য হতে বিচ্যুত করতে পারে না, বরং চেষ্টা করতে আর পরিশ্রমের দ্বারা অভাবকে জয় করার দিকে ধাবিত করে। মানুষ কোন কিছু জয় করতে ব্যর্থ হলেও সে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টা করে। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

কোকিল আশা; শ্লোক - ৫৮


ঢোল; শ্লোক - ৬৫

নিজের খাই
নিজের গাই,
নিজের ঢোল
নিজে বাজাই। 

পাদটীকা: নিজের গান নিজেকেই গাইতে হয়, অন্যকে গাইতে দিলে দেখা যাবে বেসুর গলায় গাইছে। অনুরূপ নিজের ঢোল নিজেকেই বাজাতে হয়, অন্যের ভরসায় থাকলে বেলা শেষে দেখা যাবে তোমার ঢোল বাজানোর মতো সময় অন্য কেউ পায়নি। আর বাজালেও তা তোমার মনমতো হয় নি, নতুবা বাজাতে গিয়ে ফাটিয়ে ফেলেছে।  
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ঢোল; শ্লোক - ৬৫

দু মুখো; শ্লোক - ৫২

তুমি যাকে ভেবেছ বন্ধু
সে তোমাকে নয়।
তোমার পিছনে দুর্নাম
অন্য কাউকে কয়।

পাদটীকা: কোন কোন মানুষ একাধিক ব্যক্তিত্ব পোষণ করেন। সম্মুখে বন্ধুর ভান করেন আর পিছনে শত্রুতা লালন করেন। এরূপ ব্যক্তি সঙ্গে পরিহার করে চলা উচিত, কারণ তারা তাদের নিজেদের এবং অপরের জন্য ক্ষতিকারণ। প্রকৃতপক্ষে এরূপ ব্যক্তি কারোরই বন্ধু নয়। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

দু মুখো; শ্লোক - ৫২


কেরামত; শ্লোক - ৪৯

করিওনা হেলা, ভাবিওনা 
 কাউকে অতি ক্ষূদ্রতর;
কেরামতে দেখায় কেরামতি 
ঝড়ের দিনে বড়সর।

পাদটীকা: হাতি কাঁদাতে পড়লে চামচিকা লাথি মারে, এমনকি ক্ষূদ্র পিঁপড়াও বৃহৎ হাতির মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কার মনে কী আছে তা বাহির দেখে বলা যায় না, পরহিংসা পরায়ণ লোক সুযোগ পেলেই সহিংস হয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে, তাই কাউকে কখনো তুচ্ছ ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

কেরামত; শ্লোক - ৪৯


পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন