ধর্মীয় প্রভাব; শ্লোক - ৫১১

গো দুগ্ধ অপচয় করে,
গো মূত্র করে পান।
ধর্মের প্রভাবে মানুষ,
সন্ত্রাস বা বোহেমিয়ান।

পাদটীকা: ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধ বিশ্বাসের এক তীব্র সমালোচনা। মানুষ যখন যুক্তি ও মানবিকতা ভুলে কেবল ধর্মীয় মোড়কে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তখন সে এমন কাজ করে যা বিবেকবুদ্ধির পরিপন্থী—যেমন পুষ্টিকর গরুর দুধ অপচয় করা, অথচ গরুর মূত্রকে ওষুধ বা পূজার উপকরণ হিসেবে পান করা। এই প্রবণতা কখনো সন্ত্রাসে, আবার কখনো অদ্ভুত বোহেমিয়ান জীবনধারায় রূপ নিতে পারে। যুক্তিবাদী ও মানবিক ধর্মচর্চার গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে মূলে থাকবে জ্ঞান, দয়া ও সাম্য। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।



হারামখোর; শ্লোক - ৫০৭

চুরি করে খায় খাদ্য 
চোরে চুরি করে পানীয়। 
হারাম খাদ্য ছুই না 
হালাল পেলে জানিয়ো। 

পাদটীকা: কোন কোন মানুষ দ্বৈত নীতি নিয়ে চলে। জনসমক্ষে নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করে, হালাল খাই হালাল খাই বলে চিল্লায়। পক্ষান্তরে, গোপনে অন্যায় পন্থা অবলম্বন করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ ধরণের ব্যক্তি মোটেও ধার্মীক নয়, নিজের কূপ্রবৃত্তি সমূহ ঢাকার জন্য ধর্মের বুলি আওরায় এবং ধর্মীয় লেবাস ধারণ করে। এই শ্রেণীর ব্যক্তি যে ধর্মকে প্রতিনিধিত্ব করে সেই ধর্মের জন্যই এরা ক্ষতিকর, এবং যে সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে সেই সমাজের জন্যই এরা ক্ষতিকর। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

হারামখোর; শ্লোক - ৫০৭


কুরবানী; শ্লোক - ৫০৩

মনের পশু মনেই রইলো, 
খোদায় নাহি ভয়! 
নিরীহ প্রাণী কুরবানীতে 
খোদা কী তুষ্ঠ হয়? 

পাদটীকা: যে মানুষ মনের পশুত্বকে কুরবানী বা ত্যাগ করে ঈশ্বরকে জয় করতে ব্যর্থ। সেই মানুষের মনের পশুকে জিইয়ে রেখে নিরীহ চতুষ্পদী প্রাণীকে ঈশ্বরের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হত্যা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। যে মানুষের মনের পশুত্ব রয়ে যায়, যার মধ্যে করুণা, সহানুভূতি ও খোদাভীতি নেই, সে যদি শুধু রীতির বশে নিরীহ প্রাণী কুরবানী করে, তবে তাতে ঈশ্বর কি তুষ্ট হন? বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে অন্তরের পবিত্রতা অধিক মূল্যবান—আত্মশুদ্ধি ও সহমর্মিতাই প্রকৃত পূজা। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

কুরবানী; শ্লোক - ৫০৩


দৃঢ়তা; শ্লোক - ৫০০

যে বিশ্বাস ঠুনকো কথায় ভেঙ্গে যায়
তা ভেঙ্গে যাওয়াই ভালো।
যে প্রদীপ ঝড়ো বাতাসে টিকে থাকে
মনে এমন প্রদীপ জ্বালো।

পাদটীকা: যা ভঙ্গুর তা ভেঙে যাবে এটাই স্বাভাবিক, আর যা কিছু মজবুত তাই টিকে থাকবে। যে বিশ্বাস সামান্য কথায় ভেঙে যায়, তা প্রকৃতপক্ষে শক্ত নয়—তার টিকে থাকাও অনর্থক। বরং যে আলো ঝড়ো বাতাসেও নির্বাপিত হয় না, সেই আলোই সত্য, সেই বিশ্বাসই স্থায়ী। সম্পর্ক, আস্থা ও আত্মবিশ্বাস গড়তে হলে চাই মজবুত ভিত; এবং মনেও এমন এক দীপ্তি জ্বালাতে হবে, যা প্রতিকূল সময়েও নেভে না। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


দৃঢ়তা; শ্লোক - ৫০০


ধর্মানুভূতি; শ্লোক - ৪৯৭

ধার্মিকের অভিযোগ, “ধর্মীয় বিশ্বাস
হয়েছে আহত, ধর্মাবতার হয়েছে নত”।
ধর্ম মতে, “দৃঢ় বিশ্বাসী স্বর্গ লোকে;
নরকে যাবে, দুর্বল বিশ্বাসী আছে যত”।

পাদটীকা: একটি বিশেষ শ্রেণির ধার্মিক প্রায়শই অভিযোগ করে—তাদের ধর্মীয় অনুভূতি আহত হয়েছে, ধর্মাবতারকে অপমান করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিক্রিয়া অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক আবেগের বহিঃপ্রকাশ। অথচ ধর্ম নিজেই বলে—দৃঢ় বিশ্বাসীই স্বর্গের যোগ্য, আর দুর্বল বিশ্বাসী নরকে নিক্ষিপ্ত হবে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়: বিশ্বাস কি এতটাই দুর্বল যে সামান্য প্রশ্ন বা মতভেদেই তা ভেঙে পড়ে? নরক ও স্বর্গের চাবিকাঠি-ই বা কার হাতে?

এই ভাবনাগুলো এক গভীর ব্যঙ্গচিন্তার জন্ম দেয়—ধর্ম নয়, সংকটে পড়েছে মানুষের মনোভাব ও একচেটিয়া অধিকারবোধ। কারণ, যা সত্যিকারে দৃঢ়—তা হাজারো প্রশ্নেও নত হয় না; আর যা ঠুনকো, তা সামান্য স্পর্শেই আহত হয়। যদি কোনো ধার্মিক তার ধর্মানুভূতি আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন, তবে ধরে নেওয়া যায়—ঈশ্বরপ্রদত্ত ঈমানের পরীক্ষাতেও তিনি ব্যর্থ হবেন, কারণ তার বিশ্বাস মজবুত নয়, কেবল আবেগনির্ভর। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


ধর্মানুভূতি; শ্লোক - ৪৯৭


ধর্মীয় ভিত্তি; শ্লোক - ৪৯৪

ধরম তোমার ছিনিয়ে নিবে
চিন্তার স্বাধীনতা।
ঈশ্বরের নামে বিশ্বাস করাবে
মানুষের বলা কথা।
 
পাদটীকা: ধর্মের নামে চিন্তার স্বাধীনতা হরণ এবং অন্ধ বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়ার এক প্রখর সমালোচনা। ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, এখানে মানুষের জ্ঞান এবং মুক্ত ভাবনা ভয়ের সীমানায় আবদ্ধ। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা প্রচারক, স্বাধীন চিন্তাকে ছিনিয়ে নিতে চায়— নিজের বোঝাপড়া নয়, বরং তারা ঈশ্বরের নামে বিশ্বাস করাতে চায় এমন কথাগুলো, যা মানুষই তৈরি করেছে। মানুষের বলে যাওয়া কথা সমূহ, ধর্মে ঈশ্বরের কথা হিসেবে বিশ্বাস করানো হয়। ঈশ্বর কি সত্যিই চান, আমরা নিজে না ভেবে কেবল অন্যের মুখে শোনা মত অনুসরণ করি? মানুষের উচিৎ অন্ধভাবে কোন কিছু অনুসরণ না করে, বরং যুক্তিবোধ, চিন্তা ও মানবিকতাকে ধর্মচর্চার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ধর্মীয় ভিত্তি; শ্লোক - ৪৯৪


বিজ্ঞান বনাম ধর্ম; শ্লোক - ৪৮৯

ধর্ম শেখায় অন্ধ বিশ্বাস,
করে অন্ধ বিশ্বাসে মন নিমজ্জন।
বিজ্ঞান দেখায় শেখায়,
বিজ্ঞান জ্ঞানে আলোকিত মন।

পাদটীকা: জ্ঞানে বা অজ্ঞানে কেউ বিজ্ঞানকে অস্বীকার বা বিজ্ঞানের অবদানকে অস্বীকার করলে বিজ্ঞানীরা কখনোই বিজ্ঞান অবমাননার অভিযোগ আনবে না। অপর পক্ষে ধর্মের কোন অযৌক্তিক দ্বাবী এবং বর্ণনাকে অসত্য বললে ধার্মীকেরা ধর্মাদ্রোহীতার অভিযোগ আনে। বিজ্ঞান ধর্মাপেক্ষা উত্তম, উদার এবং বিশাল।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বিজ্ঞান বনাম ধর্ম; শ্লোক - ৪৮৯


সভ্য মানুষ; শ্লোক - ৪৭৬

ধর্ম না বানায় সভ্য মানুষ
যদি না সে নিজে সভ্য হয়।
ধর্মের কল তখনই নড়ে,
যখন মানুষ ধর্মে করে ভয়।

পাদটীকা: ধর্ম মানুষকে তখনই সভ্য বানাতে সক্ষম হয় যখন মানুষ স্বয়ং সভ্য হয়। ঈশ্বর তখনই শক্তিমান, যখন মানুষ ঈশ্বরের শক্তিতে বিশ্বাস করে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

সভ্য মানুষ; শ্লোক - ৪৭৬


সাম্যের কথা; শ্লোক - ৪৭১

নির্বোধ ধর্মান্ধ না রই, 
চলো সবে সু মানুষ হই। 
জাত পাত ভেদ ভুলে, 
মানব সাম্যের কথা কই। 

পাদটীকা: নির্বোধেরাই কেবল জাত পাতের ভেদাভেদ করে, বিশ্বাসের ভিত্তিতে হানাহানি করে। মানুষ হিসেবে আমরা সকলই সমান, তাই আমাদের মানবিক হওয়া উচিত। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।



চোরের ধর্ম; শ্লোক - ৪৭০

চোরে না শোনে 
ধর্মের কাহিনী। 
ধর্মান্ধ না বোঝে 
বিজ্ঞানের বাণী। 

পাদটীকা: অসৎ ব্যক্তি যেমন সুনীতির বাহক নন, ধর্মান্ধ অনুরূপ বিজ্ঞানের ধারক নন। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।



জীবিকা এবং পন্থা; শ্লোক - ৪৬৯

যে মানুষ নিঃস্ব, খুধায় শরীর বেঁচে খায়; 
মানুষ হিসেবে অসহায়, মাথা নত হয়। 
যে মানুষ ধর্মজীবি, পেশায় ধর্ম বেঁচে খায়; 
তাহার তরে ঘৃণা, মুখ থুথুতে ভরে যায়। 

পাদটীকা: মানুষ হিসেবে আমি সেই মানুষের নিকট ব্যর্থ অপারগ মানুষ হিসেবে সেই মানুষের নিকট মাথা নত করি, যে নিঃশ্ব এবং অসহায় হওয়া স্বত্বেও কারোর নিকট হাত পাতে না। সে লোক নিকৃষ্ট, যে ধর্ম বেঁচে খায়, আমি সেই মানুষকে ঘৃণা করি যে ধর্ম দিয়ে ব্যবসা করে খায়। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

জীবিকা এবং পন্থা; শ্লোক - ৪৬৯


রোগ; শ্লোক - ৪৬৮

চর্মতে যাহা হয়; ঘা, পঁচড়া, চুলকানী 
উহা সকলি চর্মরোগ। 
ধর্মের কারনে ত্রাস, বিবেক বুদ্ধিহীন 
উহা সকলি ধর্মরোগ। 

পাদটীকা: প্রতিটি রোগের যেমন ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ থাকে এবং উপসর্গকে ভিত্তি করে রোগ নির্ণয় করা হয়, অনুরূপ ধর্মীয় বিশ্বাস কে ভিত্তি করে ব্যক্তির আচরণ, গতি প্রকৃতি, ও কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে ব্যক্তির ধর্মীয় বিস্বাসের স্বরূপ নির্ণয় করা সম্ভব। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

রোগ; শ্লোক - ৪৬৮


পৌত্তলিক; শ্লোক - ৪৫৫

পশু কুরবানী ও পশু বলি
দুই মূলতঃ পৌত্তলিক বিষয়।
উভয় পন্থায় প্রাণীর হত্যা
ঈশ্বরকে সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হয়।

পাদটীকা: যে ধর্ম মতে ঈশ্বর পশু বলীতে সন্তুষ্ট হন, সে ধর্ম পৌত্তলিক ধর্ম বৈ অন্য কিছু নয়।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

পৌত্তলিক; শ্লোক - ৪৫৫


প্রতিলিপি; শ্লোক - ৪৪৬

মানুষ তার প্রতিলিপি দেখে 
ঈশ্বরের মূর্তি গড়ে। 
আপন বাক্য প্রতিষ্ঠার তরে 
ঈশ্বরের নামে পড়ে। 

পাদটীকা: মানুষের ক্ষমতা সীমিত, মানুষের কাছে সে রূপ অকল্পনীয় যা সে দেখেনি বা শোনেনি। সসীম ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় আমরা কেবল সেগুলোর দৃশ্যায়ণ করতে পারি যা আমরা দেখেছি বা শুনেছি। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

প্রতিলিপি; শ্লোক - ৪৪৬


বিভক্তি; শ্লোক - ৪৪০

মনুষ্য প্রাণ সকলেই সমান, 
শিরায় প্রবহমান একই রঙের রক্ত। 
জৈবিক চাহিদা সবার এক, 
বিশ্বাসে মানুষ থেকে মানুষ বিভক্ত। 

পাদটীকা: প্রাণী হিসেবে সব মানুষের জৈবিক চাহিদা এক, কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক এবং জাতিগত বৈষম্য মানুষকে মানুষ থেকে আলাদা করেছে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বিভক্তি শ্লোক ৪৪০


বিশ্বাসের বিষ; শ্লোক - ৪৩৯

দুনিয়ায় আছে যত বন্যপ্রানী 
করে না কেউ হানাহানি ধর্মের বিষে! 
মানব উন্নত সভ্যতা শিক্ষায়; 
নরকের কীট ঘাতক বিশ্বাসের বিষে। 

পাদটীকা: বন্যপ্রাণীকূল বা আমাদের চোখে অসভ্য প্রাণীকূল কখনোই ধর্মের কারণে কাউকে হত্যা করে না। বরঞ্চ সভ্য এবং সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী হিসেবে দাবী করা মানুষেরা করে থাকে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বিশ্বাসের বিষ


দীপাবলী; শ্লোক - ৪৩৮

জ্ঞানের দীপাবলি উঠুক জ্বেলে 
সকল অন্ধের চিন্তনে। 
কুসংস্কার আঁধার বিদায় হোক 
সুদিন আনুক সুজনে। 
 
পাদটীকা: সকল প্রকার কুসংস্কার এবং কুচিন্তা মানুষের মন থেকে দূর হোক, মানুষের মনে জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্জলিত হোক, মানুষেরা মানুষ থেকে উত্তম মানুষ হোক, সুদিন আসবে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।
দীপাবলী; শ্লোক - ৪৩৮


বিজ্ঞান ও বিশ্বাস; শ্লোক - ৪৩৬

বিজ্ঞান যত হইবে উন্নত; 
অন্ধবিশ্বাস ঘুচিবে তত। 
দৃষ্টির ছানি বিজ্ঞান দিবে তুলে 
অন্ধবিশ্বাস মানুষ যাবে ভুলে। 

পাদটীকা: সময়ের সাথে মানুষের জ্ঞানের পরিসীমা বাড়ছে, বিজ্ঞান উন্নত হচ্ছে। মানুষের অভিযান এখন পৃথিবী ছাড়িয়ে মহাশূণ্য ছাড়িয়ে অন্য গ্রহে, অজানা কে জানার তরে, আর সমস্যা কে সমাধানের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান সদা সক্রিয়। পক্ষান্তরে অন্ধবিশ্বাস পুরোনো ধারণায় স্তব্ধ, পুরোনো সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত। ক্রমশ মানুষের বিশ্বাস এবং জীবনে প্রচলিত অন্ধবিশ্বাস সংস্কারের পরিবর্তে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির প্রতি আস্থা চলমান। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বিজ্ঞান ও বিশ্বাস শ্লোক

বিশেষ সত্তা; শ্লোক - ৪৩১

রাবণের ছিলো দশটি মাথা
দুর্গতিনাশিনী দূর্গার দশটি হস্ত।
দেব-গণ ছিল বিশেষ সত্তা;
সাধারণ যত তুমি আমি সমস্ত।

পাদটীকা: পৌরাণিক গল্প কাহিনীতে দেবতাগণ সর্বদাই বিশেষ সত্তা, সেখানে তারা বিশেষ রূপ এবং বৈশিষ্ঠে আবির্ভূত হয়েছেন, আর সাধারণ মানুষেরা সর্বদাই সাধারণ।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


দূর্গা রাম এবং লক্ষ্মণ বিশেষ সত্তা

বিভীষণ; শ্লোক - ৪৩০

পরাজিত হয় রাবণ;
লঙ্কার গদি রাম নয় পায় বিভীষণ।
স্বজন ক্ষতির কারণ,
অন্ধবিশ্বাস, বিশ্বাস করিলে ভীষণ।

পাদটীকা: “ঘরের শত্রু বিভীষণ” পৌরাণিক গল্প কাহিনীর ভিত্তিতে একটি প্রচলিত প্রবাদ প্রবচন। কালে কালে আমাদের সমাজে বিভীষণ এর মত চরিত্রের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে, যেখানে ঘরের বিশ্বাস ভাজন সদস্যই ঘর ভাঙার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ঘরের শত্রু বিভীষণ

পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন