পাদটীকা: অতিরিক্ত সহনশীলতা ও প্রশ্রয়ের নেতিবাচক পরিণতি হতে পারে। যখন কাউকে মাত্রাতিরিক্ত প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তখন সে নিজের সীমা ভুলে যায় এবং অপব্যবহার করতে থাকে—ঘাড়ে চেপে বসে। তেমনি, যখন একজন যোগ্য ব্যক্তি বিনয়ী ও নমনীয় থাকে, তখন অনেক সময় অযোগ্য ও দাম্ভিক ব্যক্তিরা দাপট দেখাতে শুরু করে। নম্রতা ও সহনশীলতার মাঝেও যথাসময়ে দৃঢ়তা ও সীমা নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে যোগ্যতা অপমানিত না হয় এবং অন্যায় প্রশ্রয় পেয়ে মাথাচাড়া না দিতে পারে। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।
পাদটীকা: ধর্মান্ধতার ফলে সমাজে মানবিক সংকট তৈরী হয়। যেখানে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও একচেটিয়া দখলদারিত্ব চলে, সেখানে ভিন্নধর্মী বা মতের মানুষ অনিরাপদ হয়ে ওঠে। ধর্মান্ধরা যে ধর্মের পতাকা তুলে ধরে, সেটি আসলে মানুষের শান্তি ও কল্যাণের পথে নয়—বরং বিপদের বার্তা হয়ে দাঁড়ায়। ধর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য শান্তি, সহনশীলতা ও মানবকল্যাণ হলেও, ধর্মান্ধরা তা বিকৃত করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও হিংসার সৃষ্টি করে। যে সমাজে যুক্তিবোধ ও মানবতা অনুপস্থিত, সেখানে ধর্ম নয়, ধর্মান্ধতাই বড় বিপদ হয়ে দাঁড়ায়। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।
পাদটীকা: ক্ষমতা ও লোভের দ্বৈতচরিত্র। “যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ”—অর্থাৎ কেউ যখন ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছে যায়, তখন সে নিজেই রাবণের মতো অহংকারী ও অত্যাচারী হয়ে ওঠে। আর “রক্ষক হয়ে সে, ধ্বংস করে বন”—অর্থাৎ, যাদের দায়িত্ব রক্ষা করার, অনেক সময় তারাই লোভ, স্বার্থ বা ক্ষমতার কারণে সর্বনাশের কারণ হয়ে ওঠে। প্রকৃতি মানুষকে ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করে—যদি নৈতিকতা না থাকে, রক্ষকও ধ্বংসকারী হয়ে ওঠে। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।
সব পুরুষের জন্ম হয় মাতা নারীর গর্ভে। অচ্ছুত নারী দূরে থাক মহা পুরুষ সদর্পে।
পাদটীকা: কোন কোন সমাজে নারীর উন্নয়ণের পথে বাঁধা নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া স্বয়ং পুরুষ সন্তানেরা। এই পুরুষেরা, নিজেকে সুপুরুষ, মহাপুরুষ, পবিত্র পুরুষ দাবি করে। অন্য দিকে ৠতুকালীন সময়ের কারণে নারীকে অপবিত্র, অচ্ছুত ঘোষণা করে, অধিকার বঞ্চিত করে। যে নারীত্বের কারণে মানব জন্ম, সেই নারীত্বকে তাচ্ছিল্য বা অপমান করা মোটেও সুপুরুষ, মহাপুরুষ, বা পবিত্র পুরুষের পরিচয় নয়।
জোর যার মুল্লুক তার,
বিড়ম্বনা অশেষ।
উঁয়ে খাওয়া, ঘুণ ধরা
সোনালী স্বদেশ।
পাদটীকা: বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং অরাজকতা ক্রমশ বর্ধমান। এক কালের সোনার বাংলাদেশ আজ দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশ রূপ ধারণ করেছে অন্যায় এবং সুষম বন্টনের অভাবে।
পাদটীকা: সমাজের সৎ মানুষেরা বরাবরই ছন্নছাড়া, এবং পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন। পক্ষান্তরে অসৎ এবাং স্বার্থন্বেষী লোকেরা বরাবরই সংঘবদ্ধ। এদের চরিত্র নেকড়ের মত, তাই কুকর্ম সম্পাদনে এদেরকে সংঘবদ্ধ দেখা যায় এবং একযোগে হুক্কাহুয়া ডেকে ওঠে।