একাকীত্বের শপথ; শ্লোক - ৪৯৫

একলা জগতে আসা;
একলা লড়তে হয়, চলতে হয় পথ।
একলা এগিয়ে যাবো,
লক্ষ্যে পৌছে যাবো, এটাই শপথ।

পাদটীকা: একাকীত্ব দুর্বলতা নয়, বরং দৃঢ় আত্মনির্ভরতার প্রতীক। জীবনের শুরু একাকী—মানবশিশু জন্মায় একা, আর মৃত্যু গ্রহণও করে একাই। জন্ম ও মৃত্যুর মাঝের অস্থায়ী সময়ে কেউ পাশে থাকবে—এই আশায় স্থির না থেকে, নিজ পথ নিজেকেই গড়ে নিতে হয়। জীবনের পথে, সংগ্রামে কিংবা সাফল্যের পথে যদি কেউ সঙ্গ না-ও দেয়, তবুও থেমে যাওয়া উচিৎ না। অন্ধকার সময়ে নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেই এগিয়ে যেতে হয়, কারণ লক্ষ্য অর্জনের সংকল্পই মানুষকে শক্তিশালী করে তোলে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত জেনেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের প্রকৃত শিক্ষা। একাকীত্ব কোনো অভিশাপ নয়, বরং তা আত্মশক্তির উন্মোচন। - আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

একাকীত্বের শপথ; শ্লোক - ৪৯৫


বঙ্গ বন্ধু; শ্লোক - ৪৭২

তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ডাক,
বাঙাল হলো এক, উঠলো বেঁজে রণের ঢাক।
পরাস্ত, লেজ গুটিয়ে পালালো পাক।
বজ্রকন্ঠী শেখ মুজিব, বঙ্গ বন্ধু নামেই ডাক।

পাদটীকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এবং স্বাধীন বাংলাদেশ স্থাপনের পিছনে শেখ মুজিবুর রহমান অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বলেই, ইতিহাসে তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃত।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বঙ্গ বন্ধু; শ্লোক - ৪৭২


রাজনীতি রন্ধন; শ্লোক - ৩৫০

ধর্মের তেলে তরকারী রাঁধো
আমিষ কিম্বা নিরামিষ।
ঐ তেলেতেই রাজনীতি ভাজো
সিন্নি, প্রসাদে একই বিষ। 

পাদটীকা: ধর্মের সাথে রাজনীতি মিশালে ধর্ম বিকৃত এবং বিতর্কিত হয়, কারণ সেটি আর ধর্ম থাকে না, তখন সেটি হয় রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের হাতিয়ার। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ধর্মান্ধতা; শ্লোক - ৫০

যে আদর্শ ভাবনা ও বাক 
নিয়ন্ত্রণ করে দীন। 
সে আদর্শে ধর্মান্ধ ত্রাস
মানুষ বিবেক হীন।  

পাদটীকা: যে মতাদর্শ মানুষের ভাবনা ও মত  প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করে, সে মতাদর্শ ধর্মান্ধতা এবং ত্রাসের জন্ম দেয়।  
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

অপনীতি; শ্লোক - ২৮

যেথা রাজনীতির 'র' থাকে না,
ধর্মের নামে হয় সন্ত্রাসী।
সেথা আজরাইলের রূপে মানুষ
স্বয়ং বাঁজায় মরণবাঁশি।

পাদটীকা: যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাজনীতি এবং ধর্মের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার জবর দখল চলে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়। সে রাষ্ট্র পৃথিবীর বুকেই নরক তুল্য, সেথা মানুষের হন্তারক হিসেবে আজরাইল নয়, মানুষ স্বয়ং আজরাইলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

অপনীতি; শ্লোক - ২৮


যুদ্ধ শেষে; শ্লোক - ১৮

যুদ্ধ শেষে রুগ্ন দেশে
সব হারিয়ে কাদছে শিশু,
বিশ্ববাসী দেখছে নিরব
নিরব আমি, নিরব যিশু।

পাদটীকা: শ্লোকটি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশের শিশুদের কথা ভেবে লেখা। পৃথিবীর কোথাও যুদ্ধ কাম্য নয়। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় আর নিরীহ নাগরিকে এর জন্য কড়া মূল্য দিতে হয়। যদ্ধু হানাহানি রক্তপাত, ক্ষমতা আর যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শনের মহরা ব্যতিত বেশি কিছু নয়।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

যুদ্ধ শেষে; শ্লোক - ১৮


নিষ্ঠুরতা বনাম মানবতা; শ্লোক - ৬

বিলীন হোক নিষ্ঠুরতা
হোক মারণাস্ত্রের ক্ষয়,
জাগ্রত হোক মানবতা
হোক মনুষ্যত্বের জয়।
 
পাদটীকা: জঙ্গি ও যুদ্ধবাজদের মন থেকে যুদ্ধের চিন্তা বিলীন হোক, যুদ্ধাস্ত্র বিকল হোক, যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়জোনীয়তা ফুরিয়ে যাক। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মনে মানবতা জাগ্রত হোক, মনুষ্যত্বের জয় হোক।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

নিষ্ঠুরতা, মানবতা; শ্লোক - ৬


পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন