হারামখোর; শ্লোক - ৫০৭

চুরি করে খায় খাদ্য 
চোরে চুরি করে পানীয়। 
হারাম খাদ্য ছুই না 
হালাল পেলে জানিয়ো। 

পাদটীকা: কোন কোন মানুষ দ্বৈত নীতি নিয়ে চলে। জনসমক্ষে নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করে, হালাল খাই হালাল খাই বলে চিল্লায়। পক্ষান্তরে, গোপনে অন্যায় পন্থা অবলম্বন করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ ধরণের ব্যক্তি মোটেও ধার্মীক নয়, নিজের কূপ্রবৃত্তি সমূহ ঢাকার জন্য ধর্মের বুলি আওরায় এবং ধর্মীয় লেবাস ধারণ করে। এই শ্রেণীর ব্যক্তি যে ধর্মকে প্রতিনিধিত্ব করে সেই ধর্মের জন্যই এরা ক্ষতিকর, এবং যে সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে সেই সমাজের জন্যই এরা ক্ষতিকর। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

হারামখোর; শ্লোক - ৫০৭


চোরের বড় গলা; শ্লোক - ৫০৬

চুরি করে খেয়ে খেয়ে 
চোর ধার্মীক সাজে। 
সাধুকে দেয় উপদেশ 
“ভালো হও কাজে”। 

পাদটীকা: প্রবাদ আছে চোরের বড় গলা। বাক্যটি শুধু প্রবাদে নয় বাস্তবেও দেখা যায়। বাস্তবেও কোন কোন চোর বা অসৎ ব্যক্তি, সাধু বা সৎ ব্যক্তিদের পিঠ চাপড়ে “ভালো হয়ে যাও” বলে বড় গলায় উপদেশ দিয়ে থাকে। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

চোরের বড় গলা; শ্লোক - ৫০৬


কূয়োর ব্যাঙ; শ্লোক - ৫০২

কূয়োর ব্যাঙ সাগরে আসে; 
সাগরের সুখ খায় নোনা জলে ভাসে। 
কূয়োর জ্ঞানে সাগরকে মাপে; 
অথৈই সুখে সর্দিগর্মি, খুশখুশ কাশে। 

পাদটীকা: কোন কোন স্বল্পজ্ঞানী ব্যক্তি ক্ষূদ্রগন্ডি পেরিয়ে যখন সৌভাগ্যক্রমে আপন যোগ্যতার চেয়ে বৃহত্তরগন্ডিতে পদার্পণ করে, তখন সে আনন্দে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বৃহত্তরগন্ডি সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞানী হয়েও, যখন সে নিজেকে বিজ্ঞ, সর্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও শ্রেষ্ঠ হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে, তখন সে মূলত আপন অজ্ঞতা এবং বৃহত্তরগন্ডিতে নিজেকে অযোগ্য হিসেবেই প্রকাশ করে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

কূয়োর ব্যাঙ; শ্লোক - ৫০২


রাখাল ও বাঘ; শ্লোক - ৪৮৭

রাখালের বাঘ বাঘ চিৎকারে
গ্রামবাসী ছুটে আসে রাখাল অট্ট হাসে।
একদা সত্যিকারে বাঘ আসে,
লোকেরা না দেয় সারা, না দাড়ায় পাশে।

পাদটীকা: ঈশপের রূপকথার সেই রাখাল ও বাঘের গল্পের শেষ পরিণতিতে কেউ রাখালের পাশে দাঁড়ায় নি। তবে বাস্তবের রাখালেরা অনেক বুদ্ধিমান এবং সংঘবদ্ধ, তারা নাটক এমনভাবে সাজায়, কেউ কেউ সত্যি ভেবে সারা দেয়, আর কেউ কেউ সাজানো নাটক জানার পরেও রাখালের ডাকে সারা দিতে বাধ্য হয়; নিছক মজার জন্য নয়, নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য রাখালেরা এমনটা করে থাকে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

রাখাল ও বাঘ; শ্লোক - ৪৮৭ 487


দেশপ্রেম নমুনা; শ্লোক - ৪৮০

রাজার মনে স্বদেশ প্রেম নাই
ভরসা নাই দেশের পণ্য, সেবা, মানে।
রেকর্ড বাঁজায়, আয়েশ করে,
জনগণকে ভুলোয় দেশ প্রেমের গানে।

পাদটীকা: সেই রাষ্ট্রপক্ষ প্রকৃতার্থেই দেশপ্রেমী যারা আপন দেশের পণ্য এবং সেবায় ভরসা করে, এবং রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করা থেকে বিরত থাকে। লোক দেখানো দেশ প্রেমের বুলি আওরানোর পরিবর্তে, যথার্থ কর্মে দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়ে জনগণকে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

দেশপ্রেম নমুনা; শ্লোক - ৪৮০

বেগম রোকেয়া; শ্লোক - ৪৭৩

জাগো গো ভগিনী, অবরোধ-বাসিনী
মশাল হাতে রোকেয়ার ডাকে।
লড়েছেন তিনি বঙ্গ নারীর শিক্ষার তরে
মহিয়সী মানবী প্রণাম তাকে।

পাদটীকা: বেগম রোকেয়া বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং প্রথম বাঙালি নারীবাদী। পুরুষের সমকক্ষতা লাভের জন্য এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সংগ্রাম করে গেছেন, নারীদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। বেগম রোকেয়াকে আমার প্রণাম এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বেগম রোকেয়া; শ্লোক - ৪৭৩


বঙ্গ বন্ধু; শ্লোক - ৪৭২

তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ডাক,
বাঙাল হলো এক, উঠলো বেঁজে রণের ঢাক।
পরাস্ত, লেজ গুটিয়ে পালালো পাক।
বজ্রকন্ঠী শেখ মুজিব, বঙ্গ বন্ধু নামেই ডাক।

পাদটীকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এবং স্বাধীন বাংলাদেশ স্থাপনের পিছনে শেখ মুজিবুর রহমান অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বলেই, ইতিহাসে তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃত।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বঙ্গ বন্ধু; শ্লোক - ৪৭২


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; শ্লোক - ৪৬৬

জগৎ জোড়া খ্যাতি তাহার; 
তিনি কবি গুরু, বিশ্বকবি। 
সব্যসাচী ছিলেন; সঙ্গীতে, 
কবিতায়, আঁকতেন ছবি। 

পাদটীকা: কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বহু গুনে গুণান্বিত এক জন শিল্পী, তিনি তার অমর সৃষ্টি কর্ম সমূহের কারণে মানুষের অন্তরে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; শ্লোক - ৪৬৬


রামমোহন রায়; শ্লোক - ৪৬৫

রাম সীতাকে আগুনে ঠেলেছে
রামমোহন নয়।
সতীদাহে সীতার ত্রাণ কর্তা,
রামমোহন রায়। 

পাদটীকা: রাজা রামমোহন রায় ছিলেন বাংলা নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। রামমোহন রায় সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

রামমোহন রায়; শ্লোক - ৪৬৫


ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর; শ্লোক - ৪৬৪

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে স্মরণ কর
নত মস্তক শ্রদ্ধা প্রাণ ভরে।
সমাজে নারীর অধিকারের তরে
গিয়েছেন ঈশ্বরচন্দ্র লড়ে। 

পাদটীকা: পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলার নবজাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং একজন সমাজ সংস্কারক। তৎকালীন সময়ে বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলনকারী, একই সাথে বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে অক্লান্ত সংগ্রাম করে গেছেন আর একারণেই যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে আমাদের স্মরণে রাখা উচিত।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর; শ্লোক - ৪৬৪


বাঙাল রাজনীতিক; শ্লোক - ৪৬২

বাঙাল রাজনীতিকেরা
কথায় কথায় মারে চাপা।
তোমার ভোটে জয় যুক্ত
তোমার বুকেই রাখবে পা। 

পাদটীকা: যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নীতিহীনেরা রাজনীতির হাল ধরে, সে রাষ্ট্রের মানুষের দূর্ভোগের সীমানা অসীম।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বাঙাল রাজনীতিক; শ্লোক - ৪৬২


তিন বাঙাল; শ্লোক - ৪৬১

যদি থাকে তিন বাঙাল;
এক জন এ দলে, অন্য জন ও দলে।
তৃতীয় জন সুবিধাবাদী
সুবিধার আশ্বাস পেলেই নামে জলে।

পাদটীকা: শুরু থেকেই বাঙালদের মাঝে সাম্যের অভাব, বিভক্ত বংশ পদবীতে, বিভক্ত বিশ্বাসের বিষে, এপার-ওপারে বিভক্তির শেষে বিভক্ত ভিন্ন নাগরিকত্বে। এর মাঝে এক শ্রেণী সুবিধাবাদী, যেখানে স্বার্থের মুলা, সেখানেই পাতে কুলা। বাঙাল কেবল মাত্র তখনই এক ছাতার নীচে অবস্থান করে যখন কোন অবাঙালী শিলা বৃষ্টি নিক্ষেপ করে, এরপর পুনরায় যে যার অবস্থানে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

তিন বাঙাল; শ্লোক - ৪৬১



বাঙাল চরিত্র; শ্লোক - ৪৬০

বাঙাল বোঝে কম
বলে বেশি।
মগজ খাটায় কম
শক্ত পেশী। 

পাদটীকা: কোন কোন ব্যক্তি বিষয়বস্তু না বুঝেই কথা বলে এবং বুদ্ধিহীনতার পরিচয় দেয়, অপর পক্ষে গায়ের জোড়েই নিজেকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দাবি করে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বাঙাল চরিত্র; শ্লোক - ৪৬০

বাঙাল জন্ম; শ্লোক - ৪৫৯

বাঙাল হয়ে না জন্মালে জানা হতো না
বাঙাল বড়ই নির্বোধ জাতি!
জ্ঞানী সংখ্যালঘু; জননেতা মাথা মোটা
চামচারা ফুলায় বুকের ছাতি।

পাদটীকা: বাঙাল হিসেবে গর্ব করার মত যেমন অনেক বিষয় আছে, তেমনি আমাদের অনুতাপের তালিকাটাও বেশ লম্বা। এখানে বাঙাল জ্ঞানী গুণী জনেরা সংখ্যালঘু, আর নির্বোধেরা সংখ্যাগুরু। এই সংখাগুরুদের নিয়ন্ত্রণ করেই রাজনীতির খেলা চলে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বাঙাল; শ্লোক - ৪৫৯


অপরিবর্তনীয়; শ্লোক - ৪২০

যে বাঙাল শিক্ষিত হয়েও,
পানি পড়ায় বিশ্বাস করে।
সে কার্টুন দেখে সভ্য হবে,
বিশ্বাস করি কেমন করে?

পাদটীকা: মানুষের কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস দূরীকরণের সুশিক্ষার কোন বিকল্প নাই।  মানুষ যদি সুশিক্ষাকে ধারণ এবং আচরণে এর বহিঃপ্রকাশ না ঘটায় তাহলে কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্তি সম্ভব নয়।  
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

অপরিবর্তনীয়; শ্লোক - ৪২০

জানা মানা; শ্লোক - ২৬১

আমরা জানি অনেক কিছু
কয় জনে সব মানি।
খাদ্য সবাই চিবিয়ে খায়
পান করা হয় পানি।

পাদটীকা: আমরা অনেক কিছুই শিখি কিন্তু বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ ঘটাই না। এই যেমন বাংলা ব্যাকরণে আমরা শিখেছি যাবতীয় তরল পানীয় পান করতে হয়, কিন্তু বলার সময় আমরা বাঙালিরা বাংলায় ভুল করে থাকি, বলে থাকি আমরা পানি খাই।  
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

জানা মানা; শ্লোক - ২৬১



বাঙালি; শ্লোক - ৭০

রাজার, ফিরিঙ্গীর, পাকির;
গোলামীর রক্ত বাঙ্গালীর স্বভাবে।
স্বাধীন দেশে কীটের গোলাম
আপন স্বভাবে, চেতনার অভাবে।

পাদটীকা: পরাধীনতা, তোষামদী এবং তৈলমর্দন বাঙালির ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। এ জাতি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে, ক্ষমতাবানের তোষামোদ করে, পোষা কুকুরের ন্যায় দৃশ্যমান বা অদৃশ্য মনিবের অধীনে সুশৃঙ্খল থাকে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


ছবি: ব্রিটিশ লাইব্রেরি

খিচুড়ি; শ্লোক - ৩৮

চালের সাথে ডাল মিশালে
নাম হয় খিচুড়ি রান্নার তন্ত্রে।
ধর্মের ও রাজনীতি মিশ্রণে
হয় বিষ; দূষণ শুরু রাষ্ট্রযন্ত্রে।

পাদটীকা: কোন রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ধর্ম এবং রাজনীতির সংমিশ্রণ সর্বস্তরের জনগণের জন্য মোটেও কোন দীর্ঘ মেয়াদি মঙ্গল বয়ে আনে না। ধর্ম এবং রাজনীতির সংমিশ্রনের ভয়াবহ ফল আমরা অতীত ইতিহাসে দেখেছি; বঙ্গভঙ্গ হয়েছে, হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে, শেষ পরিণতিতে ভারত ভাগ হয়েছে, বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, মানুষ আপন ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। তাই, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা সকলের কাম্য। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

খিচুড়ি; শ্লোক - ৩৮



দুই খন্ড; শ্লোক - ৩৬

যদি বাংলা করি দুই খন্ড
হবে বাং এবং লা।
কেউ বলবে হায় ভগবান
কেউ হায় আল্লাহ।

পাদটীকা: শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ করা যায়, এটি শব্দকে দুইটি শব্দে রূপ দেয়া যায়। শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদের মতোই বাংলা এবং বাঙালি বিচ্ছিন্ন; ভৌগোলিক কারণে এপার বাংলা আর ওপর বাংলায়, আর ধর্মের সন্ধি বিচ্ছেদে বাঙালি মুসলিম আর বাঙালি হিন্দুতে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

অভিজিৎ; শ্লোক - ৩৫

অভিজিতের জিত হবেই
হবে না তো হার;
কসম করে বলছি আমি,
কসম মানবতার।

পাদটীকা: বাংলাদেশে মুক্তচিন্তা বা মুক্তমত প্রকাশের জন্য যে কয়জনকে নৃশংসভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে তাদের মধ্যে অভিজিৎ রায় অন্যতম। আমি কামনা করি একদিন বাংলাদেশের মানুষের সহনশীলতা প্রখর হবে, মানুষ মুক্তচিন্তা বা মুক্তমতকে সম্মান করতে শিখবে। সেদিন কথার জবাব কথায় হবে, যুক্তির জবাব যুক্তিতে। অভিজিতের জয় হোক।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

অভিজিৎ; শ্লোক - ৩৫


পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন