কুরবানী; শ্লোক - ৫০৩

মনের পশু মনেই রইলো, 
খোদায় নাহি ভয়! 
নিরীহ প্রাণী কুরবানীতে 
খোদা কী তুষ্ঠ হয়? 

পাদটীকা: যে মানুষ মনের পশুত্বকে কুরবানী বা ত্যাগ করে ঈশ্বরকে জয় করতে ব্যর্থ। সেই মানুষের মনের পশুকে জিইয়ে রেখে নিরীহ চতুষ্পদী প্রাণীকে ঈশ্বরের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হত্যা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

কুরবানী; শ্লোক - ৫০৩


রাখাল ও বাঘ; শ্লোক - ৪৮৭

রাখালের বাঘ বাঘ চিৎকারে
গ্রামবাসী ছুটে আসে রাখাল অট্ট হাসে।
একদা সত্যিকারে বাঘ আসে,
লোকেরা না দেয় সারা, না দাড়ায় পাশে।

পাদটীকা: ঈশপের রূপকথার সেই রাখাল ও বাঘের গল্পের শেষ পরিণতিতে কেউ রাখালের পাশে দাঁড়ায় নি। তবে বাস্তবের রাখালেরা অনেক বুদ্ধিমান এবং সংঘবদ্ধ, তারা নাটক এমনভাবে সাজায়, কেউ কেউ সত্যি ভেবে সারা দেয়, আর কেউ কেউ সাজানো নাটক জানার পরেও রাখালের ডাকে সারা দিতে বাধ্য হয়; নিছক মজার জন্য নয়, নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য রাখালেরা এমনটা করে থাকে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

রাখাল ও বাঘ; শ্লোক - ৪৮৭ 487


প্রতিলিপি; শ্লোক - ৪৪৬

মানুষ তার প্রতিলিপি দেখে 
ঈশ্বরের মূর্তি গড়ে। 
আপন বাক্য প্রতিষ্ঠার তরে 
ঈশ্বরের নামে পড়ে। 

পাদটীকা: মানুষের ক্ষমতা সীমিত, মানুষের কাছে সে রূপ অকল্পনীয় যা সে দেখেনি বা শোনেনি। সসীম ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় আমরা কেবল সেগুলোর দৃশ্যায়ণ করতে পারি যা আমরা দেখেছি বা শুনেছি। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

প্রতিলিপি; শ্লোক - ৪৪৬


বিশেষ সত্তা; শ্লোক - ৪৩১

রাবণের ছিলো দশটি মাথা
দুর্গতিনাশিনী দূর্গার দশটি হস্ত।
দেব-গণ ছিল বিশেষ সত্তা;
সাধারণ যত তুমি আমি সমস্ত।

পাদটীকা: পৌরাণিক গল্প কাহিনীতে দেবতাগণ সর্বদাই বিশেষ সত্তা, সেখানে তারা বিশেষ রূপ এবং বৈশিষ্ঠে আবির্ভূত হয়েছেন, আর সাধারণ মানুষেরা সর্বদাই সাধারণ।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


দূর্গা রাম এবং লক্ষ্মণ বিশেষ সত্তা

বিভীষণ; শ্লোক - ৪৩০

পরাজিত হয় রাবণ;
লঙ্কার গদি রাম নয় পায় বিভীষণ।
স্বজন ক্ষতির কারণ,
অন্ধবিশ্বাস, বিশ্বাস করিলে ভীষণ।

পাদটীকা: “ঘরের শত্রু বিভীষণ” পৌরাণিক গল্প কাহিনীর ভিত্তিতে একটি প্রচলিত প্রবাদ প্রবচন। কালে কালে আমাদের সমাজে বিভীষণ এর মত চরিত্রের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে, যেখানে ঘরের বিশ্বাস ভাজন সদস্যই ঘর ভাঙার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ঘরের শত্রু বিভীষণ

নারীর পরিচয়; শ্লোক - ৩০৭

নারীর বহু পরিচয়;
ভালোবাসা প্রেমিকা,
কন্যা, জায়া, জননী,
দূর্গতিনাশিনী দূর্গা।

পাদটীকা: সমাজ, রাষ্ট্র, বা পৃথিবীর অর্ধাংশ হলো নারী। জগতে নারী আছে বলেই আমরা জন্ম গ্রহণ করি এবং বেঁচে থাকি। নারীকূল ব্যতীত পূরুষকূল অস্তিত্ব শূণ্য।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


ছবি: সোমকোয়ার বিক্রম

স্রষ্টা চরিত্র; শ্লোক - ১২

মানব আপন স্বার্থেই গড়েছে
ঈশ্বর, খোদা, ভগবান; 
আপন হাতেই লিখেছে কিতাব
তাঁহার নামে জয়গান।

পাদটীকা: ঈশ্বর কখনো মানুষের সামনে এসে তার অস্তিত্ব, মহানুভবতা বা ক্ষমতার কথা জানান দেননি। এবং ঈশ্বরের সকল জয়গান মানুষের তৈরী বর্ণমালা দিয়ে মানুষের হাতেই লেখা। মানুষ প্রাকৃতিকভাবে আশাবাদী প্রাণী, ভরসা করতে ভালোবাসে, তাই সে, স্বীয় জ্ঞানের মাপকাঠি দিয়ে এই কাল্পনিক সত্তাকে সাজায়, এবং ভরসা করে অপ্রাপ্তিগুলো ভুলে থাকে। আবার এই অজ্ঞাত শক্তির ভয় দেখিয়ে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। মোটকথা, ঈশ্বরের ধারণার স্রষ্টা মানুষ স্বয়ং।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

স্রষ্টা চরিত্র; শ্লোক - ১২


পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন