বাঙাল জন্ম; শ্লোক - ৪৫৯

বাঙাল হয়ে না জন্মালে জানা হতো না
বাঙাল বড়ই নির্বোধ জাতি!
জ্ঞানী সংখ্যালঘু; জননেতা মাথা মোটা
চামচারা ফুলায় বুকের ছাতি।

পাদটীকা: বাঙাল হিসেবে গর্ব করার মত যেমন অনেক বিষয় আছে, তেমনি আমাদের অনুতাপের তালিকাটাও বেশ লম্বা। এখানে বাঙাল জ্ঞানী গুণী জনেরা সংখ্যালঘু, আর নির্বোধেরা সংখ্যাগুরু। এই সংখাগুরুদের নিয়ন্ত্রণ করেই রাজনীতির খেলা চলে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বাঙাল; শ্লোক - ৪৫৯


ভুলোময়; শ্লোক - ৫৭

মন ভুলে ভুলে ভুলোময়,
ভুলে ভরা জীবন তাঁর। 
এক দৃষ্টে জ্ঞানী, অন্য দৃষ্টে
ভুল করেই সময় পার।

পাদটীকা: কোনো কোন ব্যক্তি ভুল করে করে শেখে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন পথ অতিক্রম করে। কোনো কোন দৃষ্টিকোণ এমন ব্যক্তিকে জ্ঞানী ভাবে যে ভুল করে শেখে, অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু তার ভুলগুলো দেখে। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


গন্তব্য; শ্লোক - ৩৭২

নদীর উৎপত্তি ঝরণা হলেও
সাগর তাহার গন্তব্য।
দক্ষের বাণ স্তব্ধ না করে,
মূর্খ লোকের মন্তব্য। 

পাদটীকা: নদীর উৎপত্তি ঝর্ণায় হলেও সে সকল বাধাকে উপেক্ষা করে সাগরে গিয়ে মিলিত হয়। কোনো বাধাই নদীর গন্তব্যকে থামাতে পারে না। অনুরূপ বিজ্ঞ বা জ্ঞানী সমাজের যে স্তরেই থাকুক না কেন, সে সকল বাধাকে উপেক্ষা করে আপন লক্ষ্যে ছুটে চলে মূর্খ লোকদের কটু কথা তাকে লক্ষ্য হতে বিচ্যুত করতে পারে না।    
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

গন্তব্য; শ্লোক - ৩৭২

কূয়োর ব্যাঙ; শ্লোক - ৫০২

কূয়োর ব্যাঙ সাগরে আসে; 
সাগরের সুখ খায় নোনা জলে ভাসে। 
কূয়োর জ্ঞানে সাগরকে মাপে; 
অথৈই সুখে সর্দিগর্মি, খুশখুশ কাশে। 

পাদটীকা: কোন কোন স্বল্পজ্ঞানী ব্যক্তি ক্ষূদ্রগন্ডি পেরিয়ে যখন সৌভাগ্যক্রমে আপন যোগ্যতার চেয়ে বৃহত্তরগন্ডিতে পদার্পণ করে, তখন সে আনন্দে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বৃহত্তরগন্ডি সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞানী হয়েও, যখন সে নিজেকে বিজ্ঞ, সর্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও শ্রেষ্ঠ হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে, তখন সে মূলত আপন অজ্ঞতা এবং বৃহত্তরগন্ডিতে নিজেকে অযোগ্য হিসেবেই প্রকাশ করে। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

কূয়োর ব্যাঙ; শ্লোক - ৫০২


মিনি কাব্য - ৩২৮

মিনি কাব্য - ৩২৮
আরিফুর রহমান
-----------------
মূর্খ জনে তর্ক করে
জ্ঞানী জনে রহে চুপ।
আল্প বিদ্যা ভয়ংকরী
দেখায় তাহার প্রতিরূপ।

অহেতুক; শ্লোক - ৫০৯

না জেনে চাপার জোড়ে হুজুরগিরি হয়, 
পান্ডিত্য নয়। 
মুর্খের সাথে জ্ঞান বিজ্ঞান তর্ক বিতর্ক, 
সময় অপচয়। 
 
পাদটীকা: প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি কোন সুনিদৃষ্ট তথ্য যাচাই করে, জেনে বুঝে কোন বিষয়ে অভিমত দিয়ে থাকে, অপর পক্ষে বিশ্বাসীগণ নিজেদের বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিশ্বাসের ভিত্তিতে মন গড়া অভিমত দিয়ে থাকে। জ্ঞানীদের সাথে আলোচনা করলে তাদের নিকট হতে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় জানা যায়। অপর পক্ষে যে পাত্র নিজেই শূণ্য তার নিকট হতে নেয়ার মত কিছুই থাকে না। 
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

অযথার্থ; শ্লোক - ৫০৯


পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন