ঋতুচক্র; শ্লোক - ৪১৬

রাতের পর ভোর হয়
হাসে দিনের আলো।
দুখের পরে সুখ আসে
ঘুচায় সকল কালো।

পাদটীকা: জীবন সুখ দুঃখের ঋতুচক্র। পালাক্রমে সব কিছুই আসে, যায়।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

উদ্বাস্তু; শ্লোক - ৪১৩

আমরা সকলেই উদ্বাস্তু;
শুক্রাণুরূপে পিতা থেকে মাতৃগর্ভে।
গর্ভ থেকে মাতৃকোলে;
বদলাবদলি শেষে উদ্বাস্তু মৃত্যুগর্ভে।

পাদটীকা: মানুষ, সভ্যতার শুরু থেকেই উদ্বাস্তু। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি উদ্বাস্তু।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ঠিকানা; শ্লোক - ৪০৭

অস্থির জীবন থেকে
যদি চাও অবসর।
পাখীর মত তুমিও
বাঁধো একটা ঘর।

পাদটীকা: অস্থির জীবন থেকে পরিত্রান পেতে চাইলে স্থির হওয়ার কোনো বিকল্প নাই।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

যাত্রা; শ্লোক - ৩৯১

মানুষ জন্মে, শিক্ষিত হয়ে
দক্ষ হয়ে মরার জন্যে;
জীবন ভর ছুঁটে চলে, যেন
রকেট চলে মহাশূন্যে।

পাদটীকা: মানব জীবন একটি দীর্ঘ যাত্রা।

জয়; শ্লোক - ৩৮৩

উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু
সাহসীরাই করেছে জয়।
সাহসীরাই শিখরে উঠেছে
জয় করেছে হিমালয়।

পাদটীকা: কোনো কিছু জয় করতে চাইলে সাহস থাকা বাঞ্চনীয়।

অকাল; শ্লোক - ৩৭৯

শুধু মানুষ খারাপ হয় না,
সময়ও খারাপ হয়,
আকস্মাৎ যখন সব কিছু
উল্টো দিকে বয়।

পাদটীকা: সময় এবং সম্পর্ক উভয়ই ভালো বা মন্দের দিকে পরিবর্তন হয়।

জন্ম পরিচয়; শ্লোক - ৩৭৭

মিঠা পানিতে জন্ম আমার,
জন্ম নদীর জলে।
নোনা পানিতে বসবাস তাই
সামুদ্রিক মাছ বলে।

পাদটীকা: ইলিশ মাছ এবং স্যালমন মাছের মত সময়ের সাথে কোন কোন মানুষের পরিচয় জন্ম পরিচয়কে ছাড়িয়ে নতুন পরিচয়ে পরিচিতি লাভ করে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

ইলিশ মাছ জন্ম পরিচয়

শ্লোক - ৩৭৪

আরিফুর রহমানের শ্লোক - ৩৭৪
—————————
খাদ্যের কোন ধর্ম নাই
খাদ্য স্বয়ং ধর্ম।
প্রাণীকূল করে আহার,
বাঁচার তরে কর্ম।

শ্লোক - ৩৭৩

আরিফুর রহমানের শ্লোক - ৩৭৩
—————————
একদিন সব মুখোশ খুলে যায়,
সামনে আসে মুখ।
একদিন কষ্টের মেঘ উড়ে যায়,
জীবনে আসে সুখ।

গন্তব্য; শ্লোক - ৩৭২

নদীর উৎপত্তি ঝরণা হলেও
সাগর তাহার গন্তব্য।
দক্ষের বাণ স্তব্ধ না করে,
মূর্খ লোকের মন্তব্য। 

পাদটীকা: নদীর উৎপত্তি ঝর্ণায় হলেও সে সকল বাধাকে উপেক্ষা করে সাগরে গিয়ে মিলিত হয়। কোনো বাধাই নদীর গন্তব্যকে থামাতে পারে না। অনুরূপ বিজ্ঞ বা জ্ঞানী সমাজের যে স্তরেই থাকুক না কেন, সে সকল বাধাকে উপেক্ষা করে আপন লক্ষ্যে ছুটে চলে মূর্খ লোকদের কটু কথা তাকে লক্ষ্য হতে বিচ্যুত করতে পারে না।    
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

গন্তব্য; শ্লোক - ৩৭২

শ্লোক - ৩৬৮

আরিফুর রহমানের শ্লোক - ৩৬৮
—————————
হিংস্র পশু বাস করে বনে
হিংস্র স্বভাবে ও কাজে।
হিংস্র মানুষ বাস করে
সভ্য মানুষের সমাজে।

শ্লোক - ৩৬২

আরিফুর রহমানের শ্লোক - ৩৬২
—————————
বন্য পশু ভয়ংকর নয়,
যদি তারা বাস করে জঙ্গলে, বনে।
সেই পশু অতি ভয়ংকর,
যে পশু বাস করে মানুষের মনে।

শ্লোক - ৩৫৫

আরিফুর রহমানের শ্লোক - ৩৫৫
—————————
গাঙে ভাসা কচুরীপনা
স্রোতে ভেসে যায়।
যদি কোথাও ঠাই মেলে
সেখানে দাড়ায়।

শ্লোক - ৩৫১

আরিফুর রহমানের শ্লোক - ৩৫১
—————————
বিনা কারণে কালিদাস
না আসে পুকুর ঘাটে।
খালি হাড্ডি অকারণে
কখনো না কুকুর চাটে।

মিনি কাব্য - ৩৩৭

মিনি কাব্য - ৩৩৭
আরিফুর রহমান
-----------------
বৃক্ষ দাড়ায় মাথা তুলে
মাটি ও শিকড়ের বলে।
যে বৃক্ষ শিকড় বিহীন,
ভেসে যায় তা বানের জলে।

মিনি কাব্য - ৩৩৬

মিনি কাব্য - ৩৩৬
আরিফুর রহমান
-----------------
শিকড় দিয়ে বৃক্ষের হয়
মাটির সাথে সম্পর্ক।
এ সম্পর্ক কভু না টুটে
মাটিও পাতার তর্ক।

লড়াই; শ্লোক - ৩৩১

প্রতিটি প্রাণী আপন জীবনে
আপন লড়াই লড়ে।
সে প্রাণী বাস করুক জঙ্গলে
অথবা মানব ঘরে।

পাদটীকা: পৃথিবীটা এক যুদ্ধ ক্ষেত্র। এখানে বিজয়ীরাই টিকে থাকে দুর্বলেরা হারিয়ে যায় কালের স্রোতে। মানুষ সহ প্রতিটি প্রাণী নিজ নিজ ক্ষেত্রে লড়ে যাচ্ছে আপন অস্তিস্ত রক্ষায়। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

লড়াই; শ্লোক - ৩৩১


মিনি কাব্য - ৩২৬

মিনি কাব্য - ৩২৬
আরিফুর রহমান
-----------------
রাতের আঁধার কাটলে পরেই
ভোরে নতুন দিন আসে।
মেঘেরা হাওয়ায় উড়ে গেলেই
জোৎস্না ঝিলিক হাসে।

মিনি কাব্য - ৩২৫

মিনি কাব্য - ৩২৫
আরিফুর রহমান
-----------------
চিরকাল নদীর জল
একই সমান না রহে,
সব ঋতুতে সে জল
এক দিকে না বহে।

মিনি কাব্য - ৩১৯

মিনি কাব্য - ৩১৯
আরিফুর রহমান
-----------------
ঘটতব্য না ঘটার পিছে
নিষেধ বা বারণ থাকে।
যাহা ঘটে তা ঘটার পিছে
নিশ্চিত কারণ থাকে।

পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন