নেকড়ে চরিত্র; শ্লোক - ২২

নেকড়েরা সব একজোট হয় 
শিকারের পিছনে ছোটে। 
চোরে চোরে মাসতুত ভাই; 
রক্তের দাগ সবার ঠোটে। 
 
পাদটীকা: সমাজের সৎ মানুষেরা বরাবরই ছন্নছাড়া, এবং পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন। পক্ষান্তরে অসৎ এবাং স্বার্থন্বেষী লোকেরা বরাবরই সংঘবদ্ধ। এদের চরিত্র নেকড়ের মত, তাই কুকর্ম সম্পাদনে এদেরকে সংঘবদ্ধ দেখা যায় এবং একযোগে হুক্কাহুয়া ডেকে ওঠে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

নেকড়ে চরিত্র; শ্লোক - ২২


দেবতা; শ্লোক - ২১

দেবতা স্বর্গ লোকে নয়
বসত করে ভূ লোকে।
উদার ও মানবিক জন
দেবতা আমার চোখে।

পাদটীকা: পৌরাণিক কল্প কাহিনীতে দেবতারা স্বর্গে বাস করে। আমি মনে করি মানুষের মনে দেবতার ধারণা জন্ম হয়েছিল ভালো এবং মহান মানুষের মানবিকতা এবং উদারতা দেখে। আমি তাকেই দেবতুল্য মনে করা উচিত যার দ্বারা কোন প্রাণীর অনিষ্ঠ হয় না; যিনি অন্তরে উদারতা ও মভানুভবতা লালন করেন এবং এবং মানবতার চর্চা করেন।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

দেবতা; শ্লোক - ২১


অবলোকন; শ্লোক - ২০

জন্ম থেকেই দেখে চলছি
কেমন আপন, কেমন পর।
দারিদ্রতা ও প্রাচুর্য দেখেছি
দেখেছি প্রাসাদ, কুঁড়ে ঘর।

পাদটীকা: অভিজ্ঞতার কথা গুলো আমার ব্যক্তিগত। স্বল্প আয়ুর জীবনে নানাবিধ অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। অনেক চেনাকে পর আর অচেনাকে আপন হতে দেখেছি। কুঁড়ে ঘর থেকে শুরু করে রাজপ্রাসাদে হেঁটেছি। এখনো প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু দেখে চলছি, নতুন নতুন বিষয় শিখে চলছি।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

অবলোকন; শ্লোক - ২০


প্রাচুর্য; শ্লোক - ১৭

প্রকৃত ধনী নয় তো সে,
যাহার আছে প্রচুর অর্থ সম্পদ ধন।
প্রকৃত ধনী হলেন তিনি,
যাহার আছে প্রাচুর্য পূর্ণ হৃদয় মন।

পাদটীকা: কেউ কেউ মানুষকে ধনী বা দরিদ্র হিসেবে মূল্যায়ন করে, ব্যক্তির কী পরিমান ধন সম্পদ বা ঐশর্য আছে তার পরিমাপে। তবে ধন সম্পদ একমাত্র ধনী বা দরিদ্র পরিমাপের মাপকাঠি নয়, উদারতা বা মহানুভহতা হলো ব্যক্তির মানসিক প্রাচুর্যতা বা দারিদ্রতা পরিমাপক।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

প্রাচুর্য; শ্লোক - ১৭


লালন; শ্লোক - ১৫

মনুষ্যত্বই ধর্ম আমার
মানবতায় খুশি।
মনে হিংসা বিবাদ নয়
ভালোবাসা পুষি।

পাদটীকা: কোন বিশেষ ধর্মে দীক্ষিত হয়ে বাক্সবন্দী হওয়ার বদলে মানবিক মানুষ হওয়া জরুরী। ধর্মীয় বিশ্বাসের দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতি হিংসা, বিবাদ, ঘৃণা বা বিদ্বেষ লালন করার পরিবরর্তে সহনশীল এবং উদার মনমানসীকতা লালন করা জরুরী।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

লালন; শ্লোক - ১৫


স্রষ্টা চরিত্র; শ্লোক - ১২

মানব আপন স্বার্থেই গড়েছে
ঈশ্বর, খোদা, ভগবান; 
আপন হাতেই লিখেছে কিতাব
তাঁহার নামে জয়গান।

পাদটীকা: ঈশ্বর কখনো মানুষের সামনে এসে তার অস্তিত্ব, মহানুভবতা বা ক্ষমতার কথা জানান দেননি। এবং ঈশ্বরের সকল জয়গান মানুষের তৈরী বর্ণমালা দিয়ে মানুষের হাতেই লেখা। মানুষ প্রাকৃতিকভাবে আশাবাদী প্রাণী, ভরসা করতে ভালোবাসে, তাই সে, স্বীয় জ্ঞানের মাপকাঠি দিয়ে এই কাল্পনিক সত্তাকে সাজায়, এবং ভরসা করে অপ্রাপ্তিগুলো ভুলে থাকে। আবার এই অজ্ঞাত শক্তির ভয় দেখিয়ে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। মোটকথা, ঈশ্বরের ধারণার স্রষ্টা মানুষ স্বয়ং।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

স্রষ্টা চরিত্র; শ্লোক - ১২


দুধ ভাত; শ্লোক - ১০

সারাজীবন একই রকম
কারোর দিন নাহি যায়।  
রোজ রোজ দুধ ভাত
কোন লোকে নাহি খায়।

পাদটীকা: চিরকাল কারোর দিন এক রকম যায় না। সুখ দুঃখ, মন্দ ভালো মিলিয়েই আমাদের জীবন। জীবনে বৈচিত্র আছে বলেই জীবন সুন্দর।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

দুধ ভাত; শ্লোক - ১০


প্রতিরূপ; শ্লোক - ৮

প্রতিরূপ দেখায় আমায়
জল এবং আয়না।
দৃষ্টিহীনে আপন স্বরূপ
দেখতে কভু পায়না।

পাদটীকা: কোন কোন মানুষ সমালোচনা থেকে শিক্ষা নেয়, নিজের কর্ম যোগ্যতায় উন্নয়ন আনে। আর কোন কোন মানুষ সমালোচনা থেকে কিছুই গ্রহণ করে না।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

প্রতিরূপ; শ্লোক - ৮


বারণ; শ্লোক - ৭

যাহা আমার লাগে ভালো,
তাহা তোমার মন্দ লাগার কারণ।
যে কাজ আমি করে খুশি,
সে কাজ করিতে তুমি করো বারণ।

পাদটীকা: কোন বিষয় বা বস্তু আপনি পছন্দ করেন বলে আপনার সুহৃদ ব্যক্তিও তা আপনার মতো করে পছন্দ করবেন, আপনার মতো করে চিন্তা করবেন, এমন আকাঙ্খা করা উচিত নয়। কারণ আমরা প্রতিটি মানুষ স্বতন্ত্র, তাই সকলের অভিরুচি, এবং অভিমত ভিন্ন।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

বারণ; শ্লোক - ৭


নিষ্ঠুরতা বনাম মানবতা; শ্লোক - ৬

বিলীন হোক নিষ্ঠুরতা
হোক মারণাস্ত্রের ক্ষয়,
জাগ্রত হোক মানবতা
হোক মনুষ্যত্বের জয়।
 
পাদটীকা: জঙ্গি ও যুদ্ধবাজদের মন থেকে যুদ্ধের চিন্তা বিলীন হোক, যুদ্ধাস্ত্র বিকল হোক, যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়জোনীয়তা ফুরিয়ে যাক। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মনে মানবতা জাগ্রত হোক, মনুষ্যত্বের জয় হোক।
- আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

নিষ্ঠুরতা, মানবতা; শ্লোক - ৬


কর্মবিচার; শ্লোক - ৪

জন্মতে আমি দেখিনা পাপ
কর্মতে আমি দেখি।
স্বাক্ষ্য, কর্ম যাচাই করেই
আমার বিচার লেখি।

পাদটীকা: মানুষের জন্মতে কোন পাপ নেই, কর্ম হলো পাপ পুণ্য বা ভালো মন্দ পরিমাপের মাপকাঠি। তাই কাউকে বিচার করার আগে যথার্থ সাক্ষ্য প্রমাণ এবং কর্মের ভিত্তি যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে। 
 
কর্মবিচার; শ্লোক - ৪

সম-অসম; শ্লোক - ৩

প্রতিটি মানুষ একই সমান
মানবিকতার মাপে।
ভিন্ন মানুষ জীবন আচরণ
সুখদুঃখ পরিতাপে।

পাদটীকা: মানবতার মানদন্ডে প্রতিটি মানুষ একই সমান। তবে আমরা ভিন্ন আমাদের নিজ নিজ সমাজে, ভাষা, সংস্কৃতি, আচরণে, নিজ নিজ সুখ দুঃখের হিসাব নিকাশে।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।


সম-অসম; শ্লোক - ৩


পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন