মিনি কাব্য - ১৮৭

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
অহংকার পরাজিত হয়
ধূলোয় মেশে ‌অবশেষে।
ভালো কথা ভালোবাসা
বেঁচে থাকে হৃদয়ে আবেশে।

নিয়ম; শ্লোক - ১৮৩

কারোর হঠাৎ প্রস্থানে
পৃথিবী থাকেনা থেমে,
যথারীতি কক্ষপথে
চলে আপন নিয়মে।

পাদটীকা: পৃথিবী তার আপন গতিতে চলে আপন কক্ষপথে। কোনো মানুষের জন্ম বা মৃত্যুতে পৃথিবীর গতি বা গন্তব্য পরিবর্তিত হয় না।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

নিয়ম; শ্লোক - ১৮৩


প্রেমেরভেদ; শ্লোক - ১৮২

শরীরবৃত্তীয় প্রেম টেনে নেয় বিছানায়,
ক্ষেত্রভেদে তা বিছানা থেকে শুরু হয়।
হৃদয়বৃত্তীয় প্রেম হৃদয়ের গভীর হতে
স্বর্গীয় অনুভূতিময়, ভাবায়, কাঁদায়।

পাদটীকা: প্রেমের সংজ্ঞা এবং প্রেম সংক্রান্ত উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতা ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন রকম। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

প্রেমেরভেদ; শ্লোক - ১৮২


লেনদেন; শ্লোক - ১৮১

ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট না করিলে
স্বর্গলোকে দিবে না ঠাঁই।
এ ভবে, লেনদেন ব্যতীত
কখনো প্রাপ্তিযোগ নাই।

পাদটীকা: ধর্মীয় গ্রন্থ সমূহে কেবল মাত্র ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার শর্তেই স্বর্গের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কেবল মাত্র সেই লোক পরকালে স্বর্গ লাভ করবেন যিনি, ইহকালে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে যাবেন। অর্থাৎ ঈশ্বরের এবং পৃথিবীর সাথে আমাদের লেনদেনের সম্পর্ক।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

লেনদেন; শ্লোক - ১৮১


সম্পর্ক; শ্লোক - ১৮০

সম্পর্ক টিকে থাকে
দ্বি-পাক্ষিক আচরণে।
হোক সে সম্পর্ক বন্ধুর
অথবা শত্রুর সনে।

পাদটীকা: একপাক্ষিক সম্পর্ক মূলত কোনো সম্পর্ক নয়, সম্পর্ক গড়ে ওঠে একাধিক পক্ষের লিখিত বা অলিখিত সম্মতিতে বা আচরণে।  এ সম্পর্ক হতে পারে বন্ধুর সাথে অথবা শত্রুর সাথে।  
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

সম্পর্ক; শ্লোক - ১৮০


আলো ছায়া; শ্লোক - ১৭৯

এ ভুবন মায়া
আলো আর ছায়া।
তুমি আমি শত
হয়ে যাবো গত।

পাদটীকা: পৃথিবীর সব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। আমার আপনার জীবনকাল ও ক্ষণস্থায়ী, দিনের আলো বা রাতের মতো একদিন তা অতিবাহিত হয়ে যাবে।  
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

আলো ছায়া; শ্লোক - ১৭৯


মিনি কাব্য - ১৭৮

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
আপন আঁখিতে পাইনা দেখিতে
আপন মুখখানি।
সকলেই সীমায় বদ্ধ, সীমাবদ্ধ
এই সত্য মানি।

মিনি কাব্য - ১৭৭

একজন অনেক কিছুতেই ভালো হয়
তবে সব কিছুতেই শ্রেষ্ঠ হয় না।
একজন অনেক কিছুই পারে
তবে সব কিছু পারে না।

প্রতিকৃতি; শ্লোক - ১৭৬

চেহারাটা দৈহিক প্রতিকৃতি
আত্মার নয়।
ব্যবহারে আত্মার প্রতিকৃতি
প্রকাশিত হয়।

পাদটীকা: মানুষের চেহারা মূলত দুইটি, একটি বাহ্যিক যা আমরা সচক্ষে দেখি, অন্য চেহারা মানুষের আত্মিক, যা আচরণের দ্বারা প্রকাশিত হয়, এবং আমরা অন্তর দিয়ে সেটি উপলব্ধ করি।
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

প্রতিকৃতি; শ্লোক - ১৭৬


মিনি কাব্য - ১৭৫

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
মানুষ যখন-
সত্যের সন্মুখীন হতে ভয় পায়।
সত্য তখন-
মুচকি হাসে ঠাট্টা তামাশায়।

মিনি কাব্য - ১৭৪

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
মানুষ যখন অন্তর হতে
সমস্যা থেকে পরিত্রাণ চায়,
বুদ্ধি মনন কাজে লাগালে
নিশ্চিত পথের দেখা পায়।

কর্মফল; শ্লোক - ১৭২

যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ
সব অংকের ফল হয়।
ভালো, মন্দ, দ্বন্দ্ব রাগ
সব কর্মের ফল হয়।

পাদটীকা: কর্ম করলে তার ফল ভোগ করতে হয়, সু কর্ম হলে সুফল, আর কেউ কর্ম হলে কুফল। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

কর্মফল; শ্লোক - ১৭২



মিনি কাব্য - ১৭০

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
জীবন হলো একমুখো পথ,
আমরা রথ যাত্রী সবে।
সব যাত্রী চলে যাবে,
যাত্রা শেষে পদধূলী রবে।

শত্রুতা; শ্লোক - ১৬৯

বেশির ভাগ শত্রুতা
বন্ধুত্ব থেকেই হয়।
সম্পর্ক, লেনদেন হোক
বোধ সচেতনতায়।

পাদটীকা: কোন কোন ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব এবং শত্রুতা হলো মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ, এবং বেশির ভাগ বন্ধুত্বই বিবর্তিত হয় শত্রুতায় রূপ ধারণ করে, তাই বন্ধুত্ব স্থপনে এবং পারষ্পারিক লেনদেন হওয়া উচিত বোধ সচেতনতায়। 
আরিফুর রহমান, নরওয়ে।

শত্রুতা শ্লোক ১৬৯


মিনি কাব্য - ১৬৮

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
ভবিষ্যত পানে চলছি;
আমরা সবাই একমুখী যাত্রী।
গন্তব্যে কেউ আগে পৌছায়
হওয়ার আগে রাত্রী।

মিনি কাব্য - ১৬৭

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
জ্ঞান লাভ করা
ভালো বিষয়।
প্রাপ্ত জ্ঞানের ভুল প্রয়োগ
কখনোই ঠিক নয়।

মিনি কাব্য - ১৬৬

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
সুখ - দুঃখের উপরে
কারো স্বত্বাধিকার নেই।
সময় হলে জীবনে
তাহা আসবে - যাবেই।

মিনি কাব্য - ১৬৫

মিনি কাব্য
আরিফুর রহমান
-----------------
সাদাকে সবাই সাদা দেখে
আমিও দেখি তাই।
সেই কথাটাই প্রকাশ করি
চিত্রে বা কবিতায়।

পরিসংখ্যান

গোপনীয়তা | শর্তাবলী | যোগাযোগ

শব্দ শুনুন